আজ ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

দ্বাদশ নির্বাচনের পর সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত, অভিযোগ নদভীর


অনলাইন ডেস্কঃ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর সাতকানিয়ায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম ১৫ আসনের সাবেক সাংসদ প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী বলেছেন, ‘গত কিছুদিন আগেও লোহাগাড়ায় ৮ থেকে ১০টি বাড়িতে একযোগে ডাকাতি হয়েছে।’

বর্তমান সাংসদের সমর্থিত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘গত দশ বছরে আমার আমলে আইন শৃঙ্খলার যে পরিস্থিতি ছিলো, শান্তির জনপদ ছিলো, তা এখন নেই। এখন মনে সাতকানিয়ায় নৌকা নেই, জমাত আছে।’ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় নির্বাচন পরবর্তী সময়ে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার চলছে অভিযোগ করে তার প্রমাণ প্রধানমন্ত্রীর হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমি এবং আমার ওয়াইফের বিরুদ্ধে কোটি টাকার দুর্নীতি করেছি বলে অভিযোগ করা হয়, সেটি প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব; কারণ আমি সৎ।’

নদভী বলেন, আমাকে অপমান করা মানে, বঙ্গবন্ধু, ভাসানীর নৌকাকে অপমান করা। বর্তমানে আওয়ামী লীগের লোকজন কষ্টে আছে, সাতকানিয়ায় যেতে পারছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

আরও পড়ুন নদভীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ ইসিতে

এসময় সাতকানিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মিনহাজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় ‘হাইয়ো হাইয়ো বউদ্দিন হাইয়ো, আন নহাইয়ো’ এরকম একটি শ্লোগান তারা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে ভাইরাল করেছে।

নদভী বলেন, ‘তুই এনা হাইয়ো, তুমি কেরানী হাটে জায়গা দখল করতে চেয়েছিলে আমি দেইনি। তাই এত চক্রান্ত।’

তিনি বলেন, ‘আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের সম্ভাবনা না থাকায় তারা জমাতের সঙ্গে আঁতাত করছে বলে জানতে পেরেছি। বিগত সংসদ নির্বাচনে জমাতের ক্যাডারদের নৌকার বিরুদ্ধে কাজে লাগিয়েছে ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন। তার বিনিময়ে তারা জমাতের নেতাকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেতানোর প্রতিজ্ঞা করেছে। অনেকে জানেন বর্তমান সাংসদের ভাই জমাতের লোক।’

এসময় বর্তমান সাংসদ এম এ মোতালেবের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘তুমি যদি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হও তাইলে আওয়ামী লীগের এত ক্ষতি করছ কেন? যুবলীগের ক্ষতি করছো কেন?’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুহাম্মদ ইদ্রিসসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর